শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনিয়মের মডেল থেকে বের হতে হবে : সুজন

খুলনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘২০১৮ সালে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। খুলনা সিটি নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনিয়মটা শুরু হয় খুলনা থেকেই। পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় একই ধরনের অনিয়ম হওয়ায় তা খুলনা মডেল হিসেবে আখ্যায়িত হয়। এবার সেই অনিয়ম থেকে বের হতে হবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি এবং ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন এ ক্ষেত্রে সবাইকে আশাবাদী করছে।’ গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে খুলনা সিটি নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপনকালে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তারা অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের তুলনায় এবার স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার হ্রাস পেয়েছে এবং উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর হার বেড়েছে; যা ইতিবাচক। গত নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছিলেন ৬৫.৬২ শতাংশ, এবার ৬৮.৭২ শতাংশ। কোনো কোনো প্রার্থীর আয়-সম্পদ বাড়লেও দায়দেনাগ্রস্ত প্রার্থীর হার বিগত নির্বাচনের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রার্থীদের দায়দেনার হার ছিল ৭.২৯ শতাংশ, এবার তা ১৭.৮৮ শতাংশ। ২০১৮ সালের তুলনায় এবার প্রার্থীদের নামে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা বেড়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ সরকার বলেন, ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, সিলস্বাক্ষরবিহীন ব্যালটে প্রদত্ত ভোটকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা, বিরোধী দলের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার, হয়রানি করা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি আমরা আর প্রত্যক্ষ করতে চাই না।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন, সরকার, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব অংশীজন তাদের ভূমিকা যেন যথাযথভাবে পালন করে।

এ সময় সংগঠনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা উপস্থিত ছিলেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর