ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই এজেন্টকে আটক করার দাবি করেছে ইরান। দেশটির আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আলবোর্জ প্রদেশ থেকে ওই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিস্ফোরক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরির কাজে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
ইরান বহু বছর ধরেই ইসরায়েলের সঙ্গে এক ধরনের ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। এই পটভূমিতে, মোসাদের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে ইরান অনেককেই গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এসেছে। বিশেষ করে যারা পারমাণবিক কর্মসূচিতে নাশকতা কিংবা গুপ্তহত্যা চালাতে চেয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান।
ইরান দাবি করেছে, ওই দুই এজেন্ট মোসাদের হয়ে কাজ করছিল এবং একটি বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতিতে ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় হুমকি ছিল বলে জানানো হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্টে এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়, গত শুক্রবার ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান যখন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে আকাশে উড়ে যাচ্ছিল, তখন ইরানের ভেতরে লুকিয়ে থাকা মোসাদের গোপন গোয়েন্দা ইউনিটও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সেই সময় সশস্ত্র ড্রোন, ছদ্মবেশী বাহিনী এবং বিভিন্ন যানবাহনে লুকানো বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার করে আক্রমণ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। এসব অস্ত্রের লক্ষ্য ছিল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা, সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি।
বিশেষ করে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর শীর্ষ নেতারা ছিল এই পরিকল্পিত হামলার মূল টার্গেট। ওই ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও বলেন, যাদের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই তখনও ‘নিজের বিছানায়, নিজের বাড়িতে’ ছিলেন।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, ইরানিরা গোয়েন্দা দিক থেকে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চরম দুর্বলতা ছিল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল