আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রাক্তন উপ পরিচালক জেনারেল ফর সেফগার্ডস অলি হেইনোনেন বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থান ঠিক কোথায় তা আমরা পুরোপুরি জানি না।
হেইনোনেন মনে করেন, ইসরায়েল সম্ভবত তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।
নাতাঞ্জ স্থাপনার পুনরুদ্ধারে ‘অন্তত কয়েক বছর সময় লাগবে’, তিনি রেডিও ফোর-এর ‘টুডে’ প্রোগ্রামে একথা বলেন।
অলি হেইনোনেন আরও বলেন, ‘ফোর্দো স্থাপনারও একই অবস্থায়। ইসরায়েলের বোমা হামলার পর এটি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে।’
কিন্তু প্রধান প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে, হেইনোনেন জানিয়েছেন, ইরান তাদের ৪০০ কিলোগ্রামের বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কোথায় সংরক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, ‘যদি তাদের কোন গোপন আস্তানা থাকে, যা খুব বড় হতে হবে এমনটা না... এবং তারা গোপনে পারমানবিক অস্ত্র বানানোর মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারে যেখানে আইএইএ-এর নজরদারি নেই, তাহলে আমাদের বড় সমস্যা হয়ে যাবে।’
এতে চলমান সামরিক সংঘাতের মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে মরিয়া পশ্চিমা বিশ্ব। তাই ইরানের গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
ইসরায়েলের সামরিক হামলার পরিণতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ আইএইএর সদর দপ্তরে জরুরি অধিবেশনে বসছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালনা পরিষদ। এই বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছিল ইরান। পরে রাশিয়া, চীন ও ভেনিজুয়েলা এতে সমর্থন দেয়।
এই জরুরি বৈঠক হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এর মধ্যে ইরানের নাতাঞ্জ ও ফোর্দোতে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয় বলে মত দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন। তিনি দাবি করেন, ইরানি নকশায় তৈরি একই ধরনের ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ও ইসরায়েলের শহরগুলোতে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এসব হুমকি একসাথে মোকাবেলা করা দরকার।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ