অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা নির্বাচন হবে না বললেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। সময় মতোই হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সব পেশার মানুষ কেন অংশ নিচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে কালো টাকার বিস্তার ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকার সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে এবং সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এটি নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লজিস্টিকের জন্য সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারি কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এই স্কিমে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্বজনীন পেনশন নিয়ে আরও ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোর্টের স্টে অর্ডার নিয়ে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর তো এই ঋণখেলাপি নিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়েই দিয়েছিলেন।