বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে খালি থালা-বাটি হাতে নিয়ে ভুখামিছিল করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল বেলা সোয়া ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবন অভিমুখে মিছিল শুরু করলে হাই কোর্ট মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। শিক্ষক-কর্মচারীরা সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আবার শহীদ মিনারে ফিরে যান। বেতনের ওপর ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবি আদায়ে তারা আজ থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলন ঘিরে গতকাল হাই কোর্ট মোড়ে পুলিশের শতাধিক সদস্য এবং ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করতে দেখা যায়। পুলিশের দুটি জলকামান ও সাঁজোয়া যানও দেখা যায় সেখানে। শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘হয়তো দাবি মেনে নে, নয়তো বুকে বুলেট দে’, ‘৫%-এর প্রজ্ঞাপন, মানি না মানব না’, ‘প্রহসনের প্রজ্ঞাপন, মানি না, মানব না’, ‘সি আর আবরার, আর নয় দরকার’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে গতকাল অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
হাই কোর্ট মাজারের পাশে অবস্থানকালে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, সোমবার থেকে আমরা আমরণ অনশনের কর্মসূচিতে যাচ্ছি। ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৫ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের প্রাথমিক বিজয়। যখন বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে, তখনই চূড়ান্ত বিজয় হবে। এর আগে আমরা শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরব না।
শিক্ষকদের মিছিল এবং শিক্ষা ভবনের পাশে মাজার গেটের দিকে অবস্থানের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর এলাকা হয়ে চানখাঁরপুল, শিক্ষা ভবন এলাকায় থমকে যায় যান চলাচল।