ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ওরেনবুর্গ অঞ্চলে একটি বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রাশিয়া ও কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন লাগার পর কেন্দ্রটি সাময়িকভাবে গ্যাস গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম পরিচালিত এই কেন্দ্রটি বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা। প্রতিবছর সেখানে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস প্রক্রিয়া করে। সর্বশেষ হামলায় এর একটি ওয়ার্কশপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক সদর দপ্তর জানিয়েছে, হামলায় কেন্দ্রটির গ্যাস পরিশোধন ইউনিটে বড় ধরনের আগুন লাগে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেন রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে। ইউক্রেন এটাকে বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রকে দুর্বল করার কৌশল।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের অভিযোগ—রাশিয়া নতুন ধরনের বোমা ব্যবহার করছে যা দূরের বেসামরিক এলাকাতেও আঘাত হানতে সক্ষম। খারকিভ অঞ্চলে রকেটচালিত বোমা ব্যবহার করে রাশিয়া একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শনিবার রাতে তারা ইউক্রেনের ৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া সেদিন রাতে ৬২টি ড্রোন ছোড়ে, যার মধ্যে ৪০টি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বংস হয় বা পথভ্রষ্ট হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে কিছু ভূমি ছেড়ে দিতে হতে পারে। তিনি বলেন, পুতিন কিছু অর্জন করেছেন, আর তিনি কিছু রাখতে চাইবেনও।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য কূটনৈতিকভাবে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল