জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম। দুই দিন আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সেদিন মতভিন্নতার কারণে সনদে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিল দলটি। তবে আনুষ্ঠানিক সনদ স্বাক্ষরের ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণফোরামের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সনদে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ২৪টি দল জুলাই সনদে সই করে। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে যেসব রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সংলাপ পর্বে অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ‘স্পষ্ট’ না হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বর্জন করে। এ ছাড়া সনদে ইতিহাস ‘সঠিকভাবে না আসা’ এবং সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন নিয়ে আপত্তির কারণে বাম ধারার চারটি দল সনদে সই করেনি। দলগুলো হলো-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম-সংবিধানের ১৫০-এর ২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এবং প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টস যাতে রাখে। এটা না থাকলে আমাদের বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা আজকে আনন্দিত যে ঐকমত্য কমিশন বলেছে, তারা ১৫০-এর ২ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বাতিল না করে ৭ তফসিল বহাল রাখবে। এজন্য আমরা স্বাক্ষর করছি।’ গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গণফোরাম ঐকমত্য কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছে।