শরীয়তপুরে পৈতৃক সম্পত্তি দখলে বাধা দেওয়ায় এক স্কুল শিক্ষক ও তার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে পালং উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক নিজামুল হক খান (৪০) ও তার ছেলে রেদওয়ান উল হক খান (১৩)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে পুনরায় হামলার আশঙ্কায় তারা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার ১০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, একই এলাকার মতিন খান ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে টিনের বেড়া দিতে গেলে নিজামুল হক বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফজলুল হক নামের একজনের নির্দেশে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজামুল হককে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার ছেলে রেদওয়ান বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপানো হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রবিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজামুল হক খান বলেন, ‘এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আদালতের সব রায় আমাদের পক্ষে। তারপরও আমার চাচাতো ভাইয়েরা দখল নিতে হামলা চালিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছি। ওদের হুমকির কারণে বাড়িতে যেতেও ভয় পাচ্ছি।’
অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দীন বলেন, ‘ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ