সুনামগঞ্জ সদর থানার রাঙ্গারচর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ। ওমান প্রবাসী এই যুবকের সাথে বিয়ে হয় রাবেয়া বেগমের। তবে রাবেয়ার আগের বিয়ে এবং পরকীয়ার কারণে তাদের দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য চলছিল।
এক পর্যায়ে রাবেয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ফারুক আহমদে। গত ১৩ অক্টোবর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন রাবেয়া ও ফারুক। এরপর বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে স্ত্রীকে নিয়ে যান লাক্কাতুড়া চা বাগানে।
সেখানে ফুফাতো ভাই আলআমিনের সহায়তায় রাবেয়াকে গলাটিপে হত্যা করে তিনি। এরপর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় তারা।
লাক্কাতুরা চা বাগানে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের চারদিন পর রহস্য উদঘাটনের শেষে এমন তথ্যের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশর(এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মরদেহ সনাক্ত করতে ওই নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছিল সিআইডি ও পিবিআই। কিন্তু মরদেহ পঁচন ধরায় সেটিও সম্ভব হয়নি। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি লেডিস ব্যাগ উদ্ধার করে। ওই ব্যাগটি তল্লাশি করে একটি মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়।
পরে মেমোরি কার্ডের কিছু কথোপকোথন যাচাই বাছাই করে রাবেয়ার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার মওলারপাড় গ্রামের মৃত মাহতাব মিয়ার মেয়ে।
পরে সন্দেহভাজন হিসেবে রাবেয়ার স্বামী ফারুক আহমেদকে আটক করা হয়। তিনি সুনামগঞ্জ সদর থানার রাঙ্গারচর গ্রামের ওমান ফেরত আব্দুল আজিজের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে রাবেয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে। হত্যার পরিকল্পনা থেকে স্ত্রীকে লাক্কাতুড়া চা বাগানে নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
স্ত্রী হত্যায় ফারুক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হত্যায় সহায়তা করা অপর সহযোগি আসামি আলামিনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/কামাল