নড়াইলে আহত জুলাই যোদ্ধার তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আশিক বিল্লাহর নাম এসেছে। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে করা মানহানি মামলার বাদী। গতকাল সকাল থেকে এ নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আশিক বিল্লাহ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, জুলাই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নিহত এবং আহতদের সহায়তা ও সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করতে দেশব্যাপী তালিকা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নড়াইলে দুজন নিহত এবং ২৭ জনের নাম আহতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। আহতদের তালিকায় রয়েছে আশিক বিল্লাহর নাম। তার গেজেট নং-৭১৭ ও মেডিকেল কেস আইডি- ৩৪৯৭১। ওই তালিকায় তার স্ত্রী খাদিজার নামও রয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন আশিক বিল্লাহ। আদালত সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের একটি আদালতে আশিক বিল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৫ সালে মানহানি মামলা করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে একই দিন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও মানহানি মামলা করেন তিনি।
বিতর্কিত এ তালিকা নিয়ে কালিয়া উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বিশ্বাস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সঠিক তদন্তপূর্বক পুনরায় তালিকা প্রকাশের দাবিসহ এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
কালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ শেখের ফেসবুকে করা এক স্ট্যাটাসের মন্তব্যে তুফান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যারা ছাত্রদের বাধা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা কীভাবে জুলাই যোদ্ধা হয়?’ নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আহতদের তালিকায় তার (আশিক বিল্লাহ) নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সে সম্পর্কে আমার জানা নেই।’
এ ব্যাপারে শেখ আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী প্রকৃত ‘জুলাইযোদ্ধা’। ১৯ জুলাই আমরা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় আন্দোলনে আহত হয়েছিলাম। আমাদের চিকিৎসা সনদসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মোতাবেক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি।’