ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট শিডিউল গতকালও ঠিক হয়নি। বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকায় ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয় ঘটে। ফলে নির্ধারিত অনেক ফ্লাইট ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও স্বজনরা।
তবে আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউল এক্সট্রা ফ্লাইট আসবে, তাদের সব ধরনের মাশুল ও খরচ মওকুফ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বেসরকারি বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
গতকাল দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকান্ডের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন। এদিকে ফ্লাইট চালু হলেও শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে ট্রানজিট ফ্লাইটের যাত্রীরা।
জানা যায়, শনিবার রাতের নির্ধারিত একাধিক ফ্লাইট গতকাল সকাল পর্যন্ত ছাড়তে বিলম্ব হয়। কিছু ফ্লাইট ছাড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর। এমনকি সকালে নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোকেও ছাড়তে হয়েছে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্বে।
শনিবার রাত ৯টা থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও সক্ষমতা অনুযায়ী পূর্ণ অপারেশন শুরু হয়নি। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে ফ্লাইট ম্যানেজমেন্টের কাজের গতি কিছুটা বেড়েছে। অগ্নিকান্ডের পর শাহজালাল বিমানবন্দরে এখনো ম্যানুয়ালি পণ্য খালাস চলছে। বিকল্প হিসেবে থার্ড টার্মিনালের পাশের কার্গো টার্মিনালে খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
গতকাল বেসরকারি বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, আগামী তিন দিন যতগুলো নন-শিডিউল এক্সট্রা ফ্লাইট আসবে, তাদের সব ধরনের মাশুল ও খরচ মওকুফ করা হয়েছে। ভিসা জটিলতার কারণে, চাকরির প্রয়োজনে, চিকিৎসার প্রয়োজনে কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যারা এই সংকটের সময় যেতে পারেননি তাদের সুবিধার্থে শনিবার রাত ৯টা থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে ফ্লাইট চলছে। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় যারা বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন, তাদের খাবার, হোটেলে থাকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও অনেক কাজ একসঙ্গে চলায় দুয়েকটি বিচ্যুতি হতে পারে। আমাদের আগ্রহ ও প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না। এরপরও যদি কোনো যাত্রী কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অগ্নিকান্ডে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। আমদানিকৃত যেসব পণ্য আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ছিল, সেগুলোর প্রায় সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ, ওজন এবং আর্থিক মূল্য নির্ধারণের কাজ চলছে। পাশাপাশি খাতভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও করা হচ্ছে।