কেনিয়ার নানিউকিতে অবস্থিত ব্রিটিশ আর্মি ট্রেনিং ইউনিটের সেনারা অর্থের বিনিময়ে যৌনকর্মী ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। যদিও এ বিষয়ে ২০২২ সাল থেকে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্রিটিশ আর্মির এক সাম্প্রতিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দুই বছরেরও বেশি সময়ের ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করে প্রস্তুত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিম্ন থেকে মাঝারি মাত্রায় লেনদেনভিত্তিক যৌন সম্পর্ক এখনো চলছে। ৭ হাজার ৬৬৬ জন সেনার মধ্যে ৩৫টি ঘটনার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। যার বেশিরভাগই প্রমাণের অভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
২০২৪ সালের অক্টোবরে আইটিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর এ তদন্ত শুরু হয়। ওই প্রতিবেদনে সেনাদের যৌনকর্মী ব্যবহার ও স্থানীয় নারীদের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে সম্পর্কের অভিযোগ প্রকাশ পায়।
যুক্তরাজ্যের চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল স্যার রোলি ওয়াকার বলেন, এ ধরনের যৌন শোষণ সেনাবাহিনীর মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত। এটি দুর্বলদের শিকার করে এবং শোষণকারীদের লাভবান করে—এটির কোনো স্থান নেই ব্রিটিশ আর্মিতে।
তদন্তে উঠে এসেছে, সেনাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে শার্কওয়াচ টহল, নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং নতুন শৃঙ্খলাবিধি চালু থাকলেও বাস্তবে এসবের প্রভাব সীমিত। প্রতিবেদনে সেনাদের বরখাস্ত প্রক্রিয়া সহজ করা এবং অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই ঘাঁটিকে ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১২ সালে স্থানীয় নারী অ্যাগনেস ওয়ানজিরুর হত্যাকাণ্ডে একজন ব্রিটিশ সেনার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপরই জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ান সংসদও ব্রিটিশ সেনাদের আচরণ নিয়ে পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল