মাদারীপুরের এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরে একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা রাখা হয়েছে। এর আগে মাদারীপুর সদরের ২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জ্বর-কাশিসহ কিছুটা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তবে তিনি সম্প্রতি দিল্লি থেকে এসেছেন। এদিকে, এক ইতালি প্রবাসী সম্প্রতি মাদারীপুর আসেন। এরপর করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তিনি আইইসিডিআরকে জানান। পরে তাকে ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তিনি এলাকার যাদের সাথে যোগযোগ করেছেন এমন ২৯ জনতে চিহ্নিত করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে একশ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দুটি কেবিনের ৪টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ২টি করে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, তবে এসব নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার অুনরোধ জানিয়েছেন মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম। হাঁচি কাঁশির সময় নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম না করার অনুরোধ করেন তিনি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রধান করে কমিটি করা হয়েছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ জানান গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জ্বর-কাশিসহ কিছুটা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তাকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখেছি। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীকে সার্বক্ষুক্ষিন খোজ খবর নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারনে অনেকেরই ঠান্ডা জ্বর ও কাশি হতে পারে। এ সকল রোগীর ক্ষেত্রে তিনি যদি সম্প্রতি কোন বিদেশ ভ্রমণ করেন তাহলে সন্দেহটা বেশি থাকে। হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তি সম্প্রতি দিল্লি থেকে আসেন।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এসব নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে হাঁচি কাঁশির সময় নিয়ম মেনে চলতে হবে। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম না করার অনুরোধ করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ