এবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা দুলাল মিয়া (৪৫) করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরলেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: হাফিজুর রহমান। এ নিয়ে জেলায় ৪ জন করোনা রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান, জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সদর ইউএনও মইনুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নজরুল ইসলাম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঈনুদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি এড.আহসান হাবীব নীলু ও বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ হাসপাতালের কমকর্তা-নার্সসহ আরও অনেকে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সুস্থতার ছাড়পত্র দিলে তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের কাছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে যেতে দেয়া হয়। তিনি গত ২০ এপ্রিল থেকে দীর্ঘ ১৭ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনার সাথে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে ওঠা দুলালকে বিদায়ের মুহুর্তে জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম বলেন, আপাতত বাড়িতে গিয়ে কারো সংস্পর্শে আসবেন না। হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সিভিল সার্জন স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার বাড়ি গিয়ে আরও ১৪দিন হোমকোয়ারেন্টানে থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।
হোমকোয়ারেন্টাইন শেষে তার আবার করোনা টেস্ট করা হবে বলে তিনি জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নজরুল ইসলাম জানান, দুলাল মিয়া আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনের সময় দুই দফা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে দুইবারই করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক চলার পরামর্শ প্রদান করেন। সমস্যা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে এবং চেয়ারম্যানকে জানাতে হবে বলে জানান তিনি। এদিকে, সদর উপজেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার খবরে এলাকার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ