সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কার দাবি করেছে তারা এক ধরনের ভেষজ পানীয় তৈরি করেছে, যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।
গত মাসে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোলিনা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই পানীয় পান করলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইতোধ্যেই দু’জন এই এ থেকে সাফল্য পেয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। সংস্থাটি জানায়, এই পানীয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করে এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। সুতরাং এটি পান করা থেকে সবাইকে বিরত থাকা উচিত।
তারা বলছে, আর্টেমিশিয়া থেকে সংগৃহীত যৌগ উপাদানগুলো ম্যালেরিয়া সারাতে কার্যকর, সরাসরি এই গাছ ব্যবহার নয়। সেক্ষেত্রে কার্যকারিতা পরীক্ষা না করেই কোনও বস্তু বা তথাকথিত ওষুধ গ্রহণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সতর্কতা উপেক্ষা করেই আফ্রিকার দেশগুলোতে মাদাগাস্কারের দাবিকৃ এই পানীয় ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই তানজানিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, গিনি-বিসাউ প্রভৃতি দেশে বিনামূল্যেই হাজার হাজার বোতল পানীয় পাঠিয়েছে মাদাগাস্কার।
মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোলিনার সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠান মালাগাসি ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লায়েড রিসার্চে ব্যাপক হারে ‘কোভিড-অর্গানিকস’ নামের এই পানীয় উৎপাদন শুরু হয়। এতে মূলত আর্টেমিশিয়াসহ বেশ কিছু ভেষজ গাছের নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। আর্টিমিশিয়া এর আগে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মাদাগাস্কার সরকার জানিয়েছে, দেশে তারা পানীয়টির দাম রাখছে ৪০ মার্কিন সেন্ট। শুধু নিজেরাই নয়, আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলোকেও তারা এই পানীয় সরবরাহ করবে।
ইতোমধ্যেই অন্তত ১৪টি আফ্রিকান দেশকে কোভিড-অর্গানিকস দেয়া শুরু হয়েছে। গিনি-বিসাউ অন্তত ১৬ হাজার বোতল পানীয় পেয়েছে। সবশেষ গত শুক্রবার তানজানিয়ায় পৌঁছেছে এই ভেষজ পানীয়।
এদিকে, আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রও বলছে, মাদাগাস্কারের কোভিড-অর্গানিকস পরীক্ষা করার পরেই পান করতে দেয়া উচিত। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম