বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিসিডিওএ) বলছে, রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরে ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। ঢাকায়ও বেশকিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট কয়েকটি হাসপাতাল সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছে।
দেশে প্রায় চৌদ্দ হাজার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রায় এক লাখ মানুষ। বিপিসিডিও বলছে, রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে অন্তত ১৫টি ক্লিনিক।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, অনেক রোগীদের কাছ থেকে বেসরকারি হাসপাতালের অনেক ডাক্তার, নার্সরা করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই অনেক বেসরকারি হাসপাতালই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাসপাতাল লকডাউন অবস্থায় আছে। জুলাই মাসের আগে হাসপাতালগুলোতে মনে হয় না রোগী আসবে বা আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনার বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সচল রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, সামনের দিনে আমরা হাসপাতালগুলোকে তিনভাগে ভাগ করে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। যারা করোনা পজিটিভ থাকবে তারা একভাগে, যারা সন্দেহজনক তারা একভাগে আর সাধারণ রোগীরা একভাগে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা