চাঁদপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। এসব সড়ক মেরামত করে দুর্ভোগ লাঘবে পৌর প্রশাসকের কাছে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবহন চালক ও পৌরবাসী। অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন নতুন পৌর প্রশাসক।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ২০০ কিলোমিটার ছোটবড় সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি টাকার বাজেটে ১০ কিলোমিটার সড়ক ও এক কিলোমিটার ড্রেনের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গেলে অন্য সড়কগুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক রোডে ওয়ার্ড কাজী অফিস থেকে শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ মোড় ও কুমিল্লা রোডে এলজিইডি থেকে ঘোষপাড়া মোড়, লোহারপুল থেকে দোকানঘর পর্যন্ত সড়কে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। ট্রাকঘাট থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যবোঝাই ট্রাক এ সড়ক দিয়ে পরিবহন করেন। কুমিল্লা রোড ব্যবহার করা হয় শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল, পৌরসভা ও লঞ্চঘাটে যাতায়াতে। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন ও চালক লোকমান গাজী জানান, চাঁদপুর পৌরসভার সড়কগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অধিকাংশই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছে চালক, শিক্ষার্থী ও পৌরবাসী। ইতোমধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ আবদুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, পুরানবাজার লোহারপুল সড়কের সংস্কার কাজ পৌর প্রশাসক শুরু করেছেন। এই সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে সড়কের ময়লা পানি ছিটকে শিক্ষার্থীদের পোশাক নষ্ট হয়। চালকরা জানান, বহু বছর এই সড়কগুলো মেরামত না করায়, ছোট বড় যানবাহন চলাচলের সময় সবাইকে আতঙ্কে থাকতে হয়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও এই সড়কগুলোতে ভাড়া নিয়ে আসতে চাই না, আবার আসলেও ঠিকমতো ভাড়া পাই না।
ঠিকাদার সঞ্জিব কুমার পোদ্দার জানান, পৌর প্রশাসক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কাজের নির্দেশ দিলেছেন। রাস্তাগুলোর কাজ সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করব। চাঁদপুর পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, পৌর প্রশাসকের নির্দেশে আমরা কিছু রাস্তার কাজ শুরু করেছি। আশা করি এ বছরের মধ্যেই সবগুলো কাজ সম্পন্ন করতে পারব। চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক জানান, পৌরসভার অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছি। কুমিল্লা রোড, ট্রাক রোড, লোহারপুল থেকে দোকানঘর পর্যন্ত রাস্তা দায়িত্ব নিয়েই পরিদর্শন করে এসেছি। সেগুলোর এস্টিমেট হয়েছে, প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। অন্য সড়কগুলোর কাজও এক মাসের মধ্যে শুরু করতে পারব।