সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে অবশেষে অপসারণ করা হচ্ছে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সম্প্রসারিত নতুন বহুতল ভবন। জেলা জজ আদালতের জায়গায় গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন ওই ভবনটির অপসারণ কার্যক্রম শনিবার সকালে শুরু করেন স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে গত ২৫ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে সকালে ঘটনাস্থলে এসে অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুজ্জামন, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাহ নেওয়াজ, লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে এসব কর্মকর্তাদের কেউ গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের জায়গায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী অবৈধভাবে জবর দখল করে ওই স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। এ ঘটনার জের ধরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে আদালত কর্মচারী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। একই সাথে জেলা ও দায়রা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বর্জন করে আইনজীবীরা বিচারকদের অপসারণ দাবীতে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রারকে সাথে নিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালত পরিদর্শন করেন। এসময় আইনজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে তা অপসারণ করতে অনুরোধ জানান। এরপরও নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকায় জনৈক এম এ রশিদ মোল্লা রিট পিটিশন দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ২৫ জুলাই আপিল বিভাগ নির্মাণাধীন ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বিডি প্রতিদিন/১৩ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১১