পাহাড়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাবে রিকশা। আর সে লক্ষ্য লংগদু সেনামৈত্রী বিদ্যানিকেতনে ২টি রিকশা উপহার দিয়েছে লংগদু সেনা জোন। সোমবার সকালে লংগদু সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. আব্দুল আলীম চৌধূরী বিদ্যালটির প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার চাকমার কাছে রিকশা ২টি হস্তান্তর করেন।
এসময় লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান ও সেনামৈত্রী বিদ্যানিকেতনের পরিচালনার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম, লংগদু থানার কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত, চাকমা, জোনের সেনা অফিসার মেজর আবু সাঈদ, লংগদু সরকারী উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিব ত্রিপুরা, কমিটির সদস্য মনিশংকর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রিকশাবিহীন জেলা ছিল রাঙামাটি। এ জেলার ১০টি উপজেলায় কোন রিকশা না থাকলেও লংগদু উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য এই প্রথমবারের মতো রিকশার যাত্রা শুরু করেছে। তাই রিকশা পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরাও।
এ ব্যাপারে রাঙামাটির লংগদু জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. আব্দুল আলীম চৌধূরী জানান, লংগদু উপজেলায় যাতায়াতের জন্য যানবাহনে অনেক সমস্যা। তাই মানুষকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের উপর নির্ভর করতে হয়। এতে করে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে আসতে অনেক সমস্যা হয়। সে লক্ষ্যে আমরা একটু ভিন্নতা পরিকল্পনা করেছি। আপাতত লংগদু সেনামৈত্রী বিদ্যানিকেতনে ২টি রিকশা দেওয়া হয়েছে। যাতে শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিদ্যালয়ে আসতে পারে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। হঠাৎ করে রিকশা পেয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি বলে জানান তিনি।
লংগদু সেনামৈত্রী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার চাকমা জানান, ২০১০ সালে মাত্র ৮৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে লংগদুতে সেনামৈত্রী বিদ্যানিকেতন। কালের পরিবর্তনে আধুনিক হয়ে উঠে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে লেখাপড়ার মানের ক্ষেত্রে র্শীষস্থান দখল করে প্রতিষ্ঠাটির শিক্ষার্থীরা। সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগের ফলে রাঙামাটি জেলার দুর্গম উপজেলার শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব