ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠেংগামারী গ্রামের কিশোর ভ্যানচালক কামরুল ইসলাম (১৩)'র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সাতদিন পর শনিবার সকালে ভাষানচর ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের ফসলী মাঠ থেকে কামরুলের গলিত লাশ উদ্ধার করে সদরপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারী গ্রামের মৃত ইছাহাক তালুকদারের পুত্র কামরুল গত শনিবার ভ্যান চালাতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে কামরুলকে ভ্যানসহ অপহরণ করে দুবৃর্ত্তরা। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও কামরুলের কোন সন্ধান পাননি তার স্বজনেরা। স্থানীয়রা কামরুলের অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে হান্নান মাতুব্বর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয়। আটক হান্নানের স্বীকারোক্তিতে পরে জাকির নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কামরুলের মা আসমা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সদরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। শনিবার সকালে স্থানীয়রা মাঠে কামরুলের গলিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। কামরুলের গলিত লাশ দেখে তার মা ও আত্মীয় স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
কামরুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সংসারের অভাব অনটন থাকায় কিশোর কামরুল ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতে সাহায্য করতে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা ও ঋন নিয়ে ব্যাটারী চালিত একটি ভ্যান ক্রয় করে তা নিয়ে ভাড়ায় যেতো। কামরুলকে হারিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কিভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কামরুলের মাসহ স্বজনেরা।
সদরপুর থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের আগেই দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। খুনিরা অপহরণের পর কামরুলকে হত্যা করে একটি মাঠে ফেলে রাখে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর