‘ড্যাডিজ লিটল গার্ল’ বইটির মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা ডা. অশোক চোপড়ার প্রতি মমতা ও ভালোবাসার গভীরতা বারবার প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৩ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুতে কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন এই বলিউড তারকা। তবে বাবার মৃত্যুর শোক প্রকাশের ধরন ছিল একেবারেই ব্যতিক্রম।
বাবার মৃত্যুর মাত্র ছয় দিনের মাথায় মা মধু চোপড়ার জন্মদিন পালন করেন প্রিয়াঙ্কা। অনেকেই বিষয়টি দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন, কেউ কেউ সমালোচনাও করেছিলেন। কারণ তিনি প্রকাশ্যে কাঁদেননি, বরং মা ও ভাইকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। তবে প্রিয়াঙ্কার মতে, এটিই ছিল তাঁর নিজের মতো করে শোক প্রকাশের উপায়।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানান, বাবার মৃত্যুর পর তাঁদের পরিবারে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। মা মধু চোপড়াও নিজের কষ্ট ছেলেমেয়েদের সামনে প্রকাশ করেননি। এ পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কা সিদ্ধান্ত নেন পরিবারকে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য দূরে কোথাও চলে যাওয়ার।
অভিনেত্রী মা ও ভাইকে নিয়ে চলে যান ব্রিটেনের একটি নির্জন দ্বীপে। প্রথম কয়েক দিন কারও মুখে তেমন কথা ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে আবেগের দেয়াল ভাঙে, কথা বলা শুরু হয়, চোখের জলও ভাগাভাগি হয়। তিনজন একসঙ্গে কেঁদেছেন, শোক ভাগাভাগি করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, "আমরা আবার একে অপরের সঙ্গে বন্ধনের জায়গায় ফিরেছিলাম। ভাঙা হৃদয়গুলো ওই সফরে একসঙ্গে জোড়া লেগেছিল।"
বিডি প্রতিদিন/আশিক