বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বুলবুল হাওলাদারের বাড়িতে ডাকাতি করে পালানোর সময় পাঁচ ডাকাতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আট-দশ জনের ডাকাত দল গৃহকর্তা বুলবুল হাওলাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে গৃহকর্তাকে বেঁধে ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা ডাকাতি করে ৫৫ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল নিয়ে শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার কেয়ার বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছালে স্থানীয় জনগণের হাতে ধরা পড়ে। স্থানীয় জনতা তাদেরকে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে সকাল আটটার দিকে ওই পাঁচ ডাকাতকে শরণখোলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃতা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের খালেক তালুকদারের ছেলে বাবুল ওরফে রাজু (২১), একই গ্রামের আমির আলী খানের ছেলে রহিম খান (২৮), পাতাকাটা গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সাগর হাওলাদার (২৫), বাদুড়া গ্রামের আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদার ওরফে মনির (২৪) এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মজনু তালুকদারের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে কাইয়ুম (২৮)।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বুলবুল জানান, রাত আড়াইটার দিকে ঘরের জানালা ভেঙে ও সিঁদ কেটে পাঁচ জন ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে তাকে বেঁধে ফেলে। পরে ঘরে থাকা তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্বাশুড়িকে রাম দা ও পাইপ গান ঠেকিয়ে জিম্মি করে। বাইরে আরো চার-পাঁচ জন ডাকাত অবস্থান করছিল। প্রায় এক ঘন্টা ওই ডাকাতরা ঘরে অবস্থান করে এবং ফ্রিজে রাখা খাবারও খেয়েছে তারা। এসময় ডাকাতরা চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ৫৫ হাজার টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ডাকাতির মামলা করবেন বলে জানান ওই গৃহকর্তা। শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার জানান, আটককৃতদের কাছে কোনো মালামাল বা অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর