কুমিল্লার লাকসামে শাহিন বেগম নামে এক গৃহবধূ স্বামীর পরকিয়ার বলি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম পৌর এলাকার গন্ডামারা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে এবং একই গ্রামের আবদুল মমিনের স্ত্রী। সোমবার রাতে এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা লাকী বেগম বাদি হয়ে লাকসাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লাকসাম থানা পুলিশ ও গৃহবধূর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আগেরদিন রবিবার রাতে পরকিয়ার ঘটনা নিয়ে শাহিন বেগমের সঙ্গে তার স্বামী আবদুল মমিনের প্রচণ্ড বাকবিতন্ডা হয়। এতে স্বামী আবদুল মমিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তিনি রাগে-ক্ষোভে বিষপান করেন। এমতাবস্থায় শাহিনের স্বামী ও স্বজেনরা তাকে প্রথমে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার দু’টি সন্তান রয়েছে।
নিহত ওই গৃহবধূর মা লাকি বেগম জানান, ১২ বছর আগে একই বাড়ির মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে আবদুল মমিনের সঙ্গে তার মেয়ে শাহিন বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক মাস পর স্বামী-স্ত্রীর সংসার জীবন ভালোভাবেই চলছিল। কিছুদিন পর তার মেয়ে স্বামীর অন্যত্র পরকিয়ার টের পায় এবং স্বামীকে বাধা দেয়। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো এবং স্বামী আবদুল মমিন তার স্ত্রী শাহিন বেগমকে মারধর করতো।
নিহত ওই গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর পরকিয়ার বলি হয়েছে তার মেয়ে শাহিন বেগম। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গেলে নিহতের স্বামী আবদুল মমিন লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। বর্তমানে লাশ হাসপাতালে রয়েছে।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম