ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র ইহোর তেরেকভ। এই হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মেয়র তেরেকভ জানান, গত রাতে রাশিয়া ৪৮টি ড্রোন, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং চারটি গ্লাইডিং বোমা নিক্ষেপ করে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি বহুতল আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ভবনের বেশ কয়েকটি তলা আগুনে জ্বলছে।
এর আগের রাতে রাশিয়া ইউক্রেন জুড়ে ৪০০টিরও বেশি ড্রোন এবং প্রায় ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে ছয়জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছিলেন। রাশিয়া বলেছিল যে এই বিমান হামলা কিয়েভ শাসনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া।
এই হামলা ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কয়েক দিন পর ঘটল। যেখানে ইউক্রেন রাশিয়ার গভীরে চারটি বিমান ঘাঁটিতে কৌশলগত যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা এসবিইউ জানিয়েছে, গত রবিবার তাদের অপারেশন স্পাইডারস ওয়েব-এর সময় অন্তত ৪০টি রুশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ইউক্রেন জানায়, ওই ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলোকে প্রথমে রাশিয়ায় পাচার করা হয়েছিল, তারপর লরির পেছনে কাঠের কেবিনের ভিতরে রাখা হয়েছিল। এরপর লরিগুলো রাশিয়ান বিমান ঘাঁটির কাছাকাছি স্থানে চালকরা চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যারা তাদের মালামাল সম্পর্কে সম্ভবত অবগত ছিল না। এরপর ড্রোনগুলো দূর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গত রাতে তাদের উপর ব্যাপক বোমা হামলার সুযোগ তৈরি করেছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল