চিলির উত্তরের উপকূলে শুক্রবার ভোরে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফজেড জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১০৪ কিলোমিটার (প্রায় ৬৫ মাইল) গভীরে।
গভীর কেন্দ্রের (Hypocentre) কারণে ভূমিকম্পটি স্থলভাগে তুলনামূলক কম তীব্র অনুভূত হলেও উপকূলীয় শহর কোপিয়াপোতে বেশ ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।
প্রাথমিক রিপোর্টে বড় ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোপিয়াপো শহরের কিছু এলাকায় পুরনো ভবনের প্লাস্টার খসে পড়েছে ও রাস্তায় ইট-কাঠের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলকভাবে কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ঘিরে রেখেছে এবং স্কুল-কলেজ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিলির ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টার জানিয়েছে, কম্পনের ধরণ ও গভীরতা বিবেচনায় সুনামি (উচ্চ সমুদ্র-ঢেউ) তৈরির ঝুঁকি নেই। তারপরও উপকূলীয় জনগণকে সমুদ্রতটে ভিড় না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টহল দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনে বড় ধরনের ত্রুটি ধরা পড়েনি। তবু সাবধানতার জন্য কিছু এলাকায় গ্যাস সংযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিলি পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি। দেশটি প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ার’-এ (পৃথিবীর চারপাশে আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পঘন এলাকা) অবস্থিত। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় চিলিতে ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। তাই মাঝারি মাত্রার কম্পন হলেও জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়ায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল