.jpg)
শরীয়তপুরে কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। একই সাথে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের উদ্যাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, স্বাধীনতা যিনি এনে দিয়েছেন, যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা দেশে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মার জন্য দোয়া করি, সকলে দোয়া করবেন। বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহ্ যেন জান্নতুল ফেরদাউস দান করেন। দোয়া করি তার পরিবারে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।
এ সময় পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার, জেলা পরিষদের উপসচিব মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুর রহমান শেখ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এস.এম. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার শাওন, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) ইমরুল, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) আদনান, পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন, জেলা গোয়েন্দা শাখা ওসি কবিরুল ইসলাম, জেলা বিশেষ শাখা ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, পালং মডেল থানা তদন্ত ওসি মো. আশরাফুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্বলিত ম্যুরাল ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও মিলাদ, দোয়া ও ১৬-১৭ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। জেলা সদর ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাও অনুরুপ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এ ছাড়াও মিলাদ, দোয়া ও কেককাটা, ১৬-১৭ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। জেলা সদর ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাও অনুরুপ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
