কলেজ গেট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী, রড ব্যবহার না করাসহ অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই গেটটি ধসে পড়েছে। কলেজের প্রভাষকসহ স্থানীয়রা বলছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ অনিয়মের জন্যই বলি হলো তরতাজা ৪ জনের প্রাণ। স্থানীয়রা অবিলম্বে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, খ্রিষ্টান মিশন ইটালিয়ান ফাদারের ২ লক্ষাধিক টাকা অনুদানে কলেজের গেটটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুধু প্লাষ্টার করা বাদ রয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে হাট চলাকালীন গেটের উপরের অংশ হাটুরে লোকজনের উপর ধসে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো একজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ৪জন। কলেজের প্রভাষকসহ স্থানীয়রা বলছেন, গেটের উপরের অংশটুকু শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে কোন রকমে গাঁথা হয়েছে। কোন প্রকার রড দেওয়া হয়নি। এছাড়াও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে উপরের অংশটুকু তেমন মজবুত হয়নি। যে কারণে উপরের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। নির্মাণ কাজে কর্তৃপক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই তরতাজা চারটি প্রাণ ঝড়ে পড়েছে।
কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার জানান, কোন প্লান ছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ নিজেই ঠিকাদার হয়ে স্থানীয় মিস্ত্রি দিয়ে গেটটি নির্মাণ করছেন। নির্মাণ কাজে যথেষ্ট পরিমান রড দেওয়া হয়নি। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত সব সরঞ্জামান নিম্নমানের হওয়ায় উপরের অংশ ধসে পড়েছে।
তবে কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, খৃষ্টান মিশনের অনুদান আর তারাই গেটটি নির্মাণ কাজ করছে। আমরা কর্তৃপক্ষ শুধু তদারকি করছি। তার ভাষ্যমতে সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমান রড-সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। গেটটি মজবুত হয়েছে। কিন্তু কেন বা কি কারণে ধসে গেল তা বোধগম্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান জানান, তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি তবে ঘটনার বিবরণসহ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন সে মোতাবেক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল