শরীয়তপুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ঔষধ, কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্য ও প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া জেলার শপিংমল, হোটেল, ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানসহ সব ধরনের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে।
এছাড়া জেলায় যাতে কোথাও জনসমাগম না হয় সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকান ও যানবাহনে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর কাজ করছে পুলিশ। শরীয়তপুর পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রাস্তা ও দোকানের বিভিন্ন স্থানগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীর টিম প্রচারে নেমেছে।
তবে নড়িয়া উজেলায় ইতালি প্রবাসী বেশি হওয়ায় সেখানেও বেশ গুরুত্বের সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে। সকলকে বিনাপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। করোনা মোকাবিলায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা পুলিশকে নিরাপদে দায়িত্ব পালনের জন্য সুরক্ষার জন্য পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস হস্তান্তর করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন হতে মুক্ত হয়েছেন ২৮১ জন। জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৪৬ জন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন