এক সপ্তাহ আগে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় তেমন কোনো পর্যটকের উপস্থিতি ছিল না। কোরবানির ঈদের দিন দেশি-বিদেশি পর্যটকের তেমন দেখা মেলেনি। দ্বিতীয় দিন রবিবার সকাল থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকের উপস্থিতি। সেটিও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, জোয়ারে কিছুটা উত্তাল সমুদ্র, আবার ভাটায় শান্ত। অল্প সংখ্যক পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে আনন্দ করছেন। অনেকে ফুটবল খেলে এবং প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরছেন সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। আবার কেউ কেউ ঘোড়া, ওয়াটারবাইক, মোটরসাইকেলে ঘুরে দেখছেন কুয়াকাটার অপরূপ সৌন্দর্য। তবে বেশিরভাগ পর্যটকের উপস্থিতি ছিল সৈকতের জিরো পয়েন্টে।
এদিকে, পর্যটকদের তুলনামূলক আগমন বাড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলোতে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকত এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পর্যটক শহিদুল আলম ঢাকায় চাকরি করেন। কোরবানির ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে সপরিবারে কুয়াকাটায় যান। সকাল থেকে তারা পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, এ এক দারুণ অনুভূতি। দখিনা বাতাস বইছে। ইচ্ছে করছে, ছাতা বেঞ্চিতেই ঘুমিয়ে যাই।
পাঁচ বন্ধুর সাথে কুয়াকাটায় এসেছেন পর্যটক জলিল। তিনি জানান, তারা সৈকতে বালু নিয়ে খেলাসহ অনেক আনন্দ করেছেন। এই ঈদের সময়টা বেশ দারুণ কাটছে। তবে হোটেল ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। ঈদের আগের এক সপ্তাহ অনেকটা পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা। আশা করছি, পর্যটকের সংখ্যা অনেক বাড়বে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনস্পেক্টর তাপস চন্দ্র বলেন, কোনো ধরনের হয়রানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। এছাড়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল