কমলা হ্যারিস আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চান ২০২৮ সালের নির্বাচনে। বুধবার প্রদত্ত বিবৃতিতে এমন আভাস দিয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই। সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ প্রদত্ত বিবৃতিতে কমলা উল্লেখ করেছেন, গত ছয় মাস ধরেই আমি আমাদের জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে গভীরভাবে ভাবছিলাম, একই সঙ্গে আমেরিকানদের অধিকার সুসংহত করার মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণে কীভাবে আমি কাজ করে যেতে পারি- সেটিও ছিল আমার ভাবনা-চিন্তায়। আমি যে মূল্যবোধ আর আদর্শ লালন করছি তার মধ্য দিয়েই জনসাধারণের কল্যাণে, আমেরিকার উন্নতিতে অবদান রাখতে পারব- সেটিও ভাবছিলাম।
কারণ, জীবনের শুরু থেকেই আমি মানুষের কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি এবং আমি মনে করছি যে, জনসেবার সেই মনোভাবকে পোষণ করেই সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনায় সামনের দিনগুলোতেও সরব থাকব, মানুষের অধিকারের জন্যে লড়াই চালাব। আইনজীবী, প্রসিকিউটর, স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল, ইউএস সিনেটর এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারগুলোকে আমার সৌভাগ্য ছিল বলেই ভাবছি।
কমলা আরও উল্লেখ করেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আমাকে তাদের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেবেন কি না তাও ছিল ভাবনার অন্যতম বিষয়। কারণ, এটা হচ্ছে আমার নিজ এলাকা। তবে অনেক ভাবনা-বিশ্লেষণ-পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সামনের নির্বাচনে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট গভর্নর পদে লড়ব না। কমলা তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, জনসাধারণের প্রত্যাশার পরিপূরক হওয়া দরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা। এবং আমরা, জনসাধারণকে অবশ্যই সেই ক্ষমতা ব্যবহার করা উচিত সকলের স্বাধীনতা, সুযোগ, ন্যায়-নিষ্ঠ্যতা, মর্যাদা সুরক্ষায় নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যেতে। আমি সেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ থাকতে চাই।
কমলা হ্যারিসের এই বিবৃতিতে সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ, সাম্প্রতিক বিভিন্ন জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক পরিবহন মন্ত্রী পিটে বাটিগ্যাগ, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম, পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর যোশ শ্যাপিরো এবং নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান আলেক্সিন্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন কমলা। এ ছাড়া, প্রার্থী হিসেবে তহবিল সংগ্রহেরও বিশেষ একটি সক্ষমতা রয়েছে কমলার।