ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টা নতুন এক মোড় নিয়েছে। একসময় যিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন তিনিই বলছেন দুই দেশের নেতাদের মধ্যেকার ‘অকল্পনীয় ঘৃণা’ শান্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় বাধা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বারবার বলে আসছিলেন, তিনি খুব সহজে এই যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। তবে আজ তার কথায় শোনা গেলো হতাশার সুর। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান, সাতটি যুদ্ধ থামানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও এই যুদ্ধ তার জন্য ‘কঠিন’ হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যেকার ঘৃণা অকল্পনীয়। তারা একে অপরকে এতটাই ঘৃণা করেন যে, তারা সামনাসামনি নিঃশ্বাস নিতে পারেন না। তারা একে অপরের সাথে কথা বলারও কথাও ভাবতে পারেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের দাবি ছিল, তিনি ক্ষমতায় ফিরলেই এই সংঘাত দ্রুত মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরেনি। সম্প্রতি ট্রাম্পের বক্তব্যে কিছুটা পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। অতীতে তিনি সরাসরি রাশিয়াকে আক্রমণকারী বলতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু এখন তিনি বলছেন, এই সপ্তাহে দুই দেশের ৮ হাজার সৈন্য মারা গেছে। রাশিয়ার দিকে বেশি। আপনি যখন আগ্রাসী, তখন আপনার ক্ষতি বেশি হবে।
এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনের প্রতি তার সুর এখন আরও কঠোর। তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি মস্কো শান্তি আলোচনায় সহযোগিতা না করে, তবে ওয়াশিংটন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। তবে এর সঙ্গে তিনি একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, তার সরকার মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত, তবে সেক্ষেত্রে সব ন্যাটো মিত্রদেরও রাশিয়ার তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে এবং নিজেদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল