কভিড-১৯ করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও ইয়াবা পাচার থেমে নেই। শনিবার ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সাথে পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় ৪ মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে পুলিশ ও বিজিবির ৬ সদস্য আহত হয়েছে।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খাঁন (পিএসসি) জানান, বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নিহত হওয়া তিন ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। অভিযানে বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়।
তিনি আরও জানান, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ছ্যুরিখাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিজিবি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ২টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার ভোর রাতে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন তুলাতলি এলাকায় থানা পুলিশের একটি দল উক্ত এলাকায় অভিযানে গেলে মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর পুলিশও আতরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে একজন নিহত হন।
নিহত ব্যক্তি হচ্ছে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা মুসা আকবর (৩৬)। আহত তিন পুলিশ সদস্যরা হলেন এএসআই আরিফ হোসেন, কনস্টেবল এডিসন চাকমা ও কনস্টেবল রুমন।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৬ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরি ১টি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ৬ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা