নিয়োগপত্র ও খাদ্যভাতা প্রদান, নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের প্রথম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের আওতায় পণ্য ও জ্বালানিসহ সকল মালবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রীবাহি নৌযান ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে দাবি মেনে না নিলে যাত্রীবাহী জাহাজেও শ্রমিক ধর্মঘট শুরুর হুশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
১১ দফা দাবিতে গত দেড় বছরে ৩ বার ধর্মঘট করে নৌযান শ্রমিকরা। সব শেষ গত অক্টোবরেও লাগাতার ধর্মঘট করে তারা। প্রতিবার দাবি, মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তাদের কোন দাবি মেনে নেয়নি সরকার কিংবা মালিক পক্ষ।
এ কারনে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে ফের নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের আওতায় সকল ধরনের পণ্য ও জ্বালানিবাহি নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে গন্তব্যে যেতে না পেরে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙ্গর করে রয়েছে অর্ধ শতাধিক পণ্য ও জ্বালানিবাহি জাহাজ।ধর্মঘটি শ্রমিকরা বলছেন, মৌখিক ভিত্তিতে চাকরি করছেন তারা। তাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ কারণে নিয়োগপত্র ও খাদ্যভাতা প্রদান, নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদান এবং নৌপথে নাব্যতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি তুলেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তারা।
এদিকে ধর্মঘট সফল করতে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙ্গর করা বিভিন্ন জাহাজে গিয়ে দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন নৌযান শ্রমিক নেতারা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর চাঁদমারী ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ করে নৌযান শ্রমিকরা।
নৌপথে পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন বন্ধ থাকায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, দুর্গা পূজার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রীবাহি জাহাজ ধর্মঘটের আওতামুক্ত রেখেছেন। অনতিবিলম্বে তাদের দাবী মেনে না নেয়া হলে পণ্যবাহি জাহাজের মতো যাত্রীবাহি জাহাজেও যে কোন সময় শ্রমিক ধর্মঘট শুরুর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা