২৩ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:৪৭

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ‘মিথ্যা’ মামলায় পুুরুষশূন্য গ্রাম!

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ‘মিথ্যা’ মামলায় পুুরুষশূন্য গ্রাম!

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ছাতীয়ান গ্রাম এখন প্রায় পুুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। তৃপ্তি খাতুন নামে এক নারীর করা একের পর এক মিথ্যা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলার ভয়ে গ্রাম ছাড়ছে পুরুষরা। তবে মোটা অংকের অর্থ দিলেই মামলার নিষ্পত্তি করে ফেলছে এই নারী। টাকার জন্য নিজের স্বামীর নামেও করেছে ধর্ষণের মামলা, এ অভিযোগ ছাতিয়ান গ্রামবাসীর।

গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, তৃপ্তি নিজের দুই দেবরকে নিয়ে মাদক ব্যবসা ও আসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। আমরা গ্রামের সকলে এই ব্যবসা বিরুদ্ধে। এই বিরোধিতা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সকল কার্যক্রমের  প্রতিবাদ করলেই তাকেই সে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। এর পর তার চাহিদা মতো টাকা দিলে সে মামলা সে তুলে নেয়। 

গ্রামের প্রবীণ মাতব্বর জিল্লুর রহমান  বলেন, প্রতি মাসেই একজন না একজন পুরুষ তৃপ্তির টার্গেটে পড়ে। এরপর তাকে ধর্ষণ বা নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। আর টাকা না দিলে  কুমাড়ি ডাঙ্গা ক্যাম্পের এস আই আব্দুল আলিমের মাধ্যমে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালিয়ে কোর্টে চালান দেয়। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাসে ৫ জন পুরুষের কাছ থেকে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে লক্ষ টাকা আদায় করেছে। এর মধ্যে বাউট গ্রামের সবুর, শুকুর কান্দির জাহিদ ও জেকের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নিজের স্বামীসহ ডজন খানিক পুরুষের নামে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা দিয়েছে।

আ. রাজ্জাক বলেন, তৃপ্তির মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আড়াই মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু তাকে ধর্ষণ করলাম গ্রামের কেউ জানলো না। তার বাড়ির সামনে থেকে কুমাড়ি ডাঙ্গা ক্যাম্পের এস আই অব্দুল আলিম ও আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে জানালো আমি ধর্ষণ করেছি। আমাকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে চলে গেলো। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় আমাকে কোর্টে চালান দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হলে।

কোহিনুর বেগম নামে এলাকার এক নারী বলেন, সে খুব খারাপ নারী। তাকে নিয়ে বলতেও ভয় লাগে কি বিপদ না হয়ে পরে। সে তার স্বামী জাকিরের নামেও ধর্ষণ মামলা করেছে। বিয়ে করা বৌকে কেউ ধর্ষণ করে কখনও শুনেনি। 
তৃপ্তি খাতুন বলেন, অভিযোগগুলো সঠিক নয়। আমি এ পর্যন্ত মাত্র তিনটা নির্যাতনের মামলা করেছি। তবে আ. রাজ্জাক ও জাহেরুলের বিরুদ্ধে মামলা করা সঠিক হয়নি। এটা আমি রাগের মাথায় করেছি। তিনি আরো বলেন, এ সব নিয়ে লিখবেন না। 

কুমাড়ি ডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই আব্দুল আলিম বলেন, আমি চট্টগ্রামে ট্রেনিংয়ে এসেছি। ট্রেনিং থেকে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর