বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সিংগাতী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইজনে।
শনিবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরসালিন চৌধুরী (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত মুরসালিন উপজেলার সিংগাতী গ্রামের এরশাদ চৌধুরীর গ্রুপ প্রধান এরশাদ চৌধুরীর ছেলে। মুরসালিন চৌধুরী স্থানীয় বিএনপির কর্মী।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুর রহমান চৌধুরী (৪০) নামে বিএনপির অপর এক কর্মী নিহত হয়। নিহত আজিজুর রহমান চৌধুরী সিংগাতী গ্রামের মোশারফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। নিহত দু’জনই বিএনপির এরশাদ চৌধুরী গ্রুপের সদস্য। বিএনপির ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে এরশাদ চৌধুরী গ্রুপের ৩০ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, বিএনপির মাসুম চৌধুরী গ্রুপের আহত অপর ১০ জন গ্রেফতার এড়াতে বাগেরহাট ও খুলনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করায় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শনিরাব রাত থেকে এলাকায় বিপুল সংখক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নিহত দুই কর্মীর মরদেহ রবিবার বিকাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ থেকে এলাকায় এসে পৌঁছায়নি।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল আসলাম জানান, সিংগাতী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির মাসুম চৌধুরী গ্রুপের সাথে বিএনপির এরশাদ চৌধুরীর সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোরবানির মাংস বিতরণ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে নারীসহ দুই গ্রুপের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় শনিবার প্রথমে আজিজুর রহমান চৌধুরী, পরে মধ্যরাতে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরসালিন চৌধুরী মারা যায়। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। প্রতিপক্ষ গ্রুপের দু’জনের মৃত্যুর খবর পেয়েই মাসুম চৌধুরী গ্রুপের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই