১২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত সময়ে ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের হাম-রুবেলার টিকা দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচি ঘোষণার পরই দেশব্যাপী এ টিকা প্রদান শুরু হবে। কিন্তু টিকা দানকারী স্বাস্থ্য সহকারীরা প্রায় মাস খানেক ধরে আন্দোলনে থাকায় এ কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।
মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন সুবিধাসহ টেকনিক্যাল এসিষ্ট্যান্ট পদে পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কর্মবিরতী করে যাবেন বলে জানাগেছে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে এই বিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এতে করে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকরী এসোসিয়েশনের ঝালকাঠি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক খান নাঈম বলেন, খুব শিগগিরই করোনা টিকা বাংলাদেশে আসছে। টিকা দেওয়ার স্পেশাল কোন প্রশিক্ষণ তাদের দেওয়া হয় না। বেসিক প্রশিক্ষনের অভিজ্ঞতা থেকেই তারা টিকা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু করোনার মত একটি স্পর্শকারতন টিকা যথাযথ প্রশিক্ষন ছাড়া প্রদান করা ঠিক হবে না। বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন ও টেকনিক্যাল পদমর্যদাসহ ৩টি দাবিতে তারা মাঠে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর কোন দেশেই টেকনিক্যাল পদমর্যদা ছাড়া টিকা প্রদান করে না। ১৯৯৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালে দেওয়া ঘোষণা আমলাতান্ত্রীক জটিলতায় ২২ বছরেও আলোর মুখ দেখা যায়নি। ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে যোগ দিবেনা বলেও জানান তারা।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলনে থাকায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের দিয়ে টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই তাদের প্রশিক্ষন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে শেষ সময়ে হয়ত তারা এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগীতা করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল