তিস্তার ডালিয়া পয়েন্ট থেকে গঙ্গাচড়ার মহিপুর সেতুর দূরুত্ব ৪৬ কিলোমিটার। সাঁতরে এই পথ পাড়ি দিতে হবে। চাট্টিখানি কথা নয়। ডালিয়া থেকে মহিপুর পর্যন্ত সাঁতার প্রতিয়োগিতার আয়োজন করে রংপুর জেলা প্রশাসন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিস্তায় এই সাঁতারের আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলার সাঁতারুরা অংশগ্রহণ করেন। এমন প্রতিযোগিতা তিস্তাপাড়ে আগে কখনো হয়নি। তাই সকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী তিস্তা পাড়ে ভিড় জমায়।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্ট থেকে ৪৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রংপুর গঙ্গাচড়া লহ্মীটারীর শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় এসে পৌঁছায় ১৬ জন সাঁতারু। এতে নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া থেকে রংপুর মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু ৪৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রথম হন বগুড়ার দশম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি রহমান। তার বাবা আলানুর রহমান সাঁতার প্রশিক্ষক। ১৪ বছরের এই রাব্বি ২০২০ সালে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ৪০ জনের মধ্যে ১ম হয়েছিলো।
প্রতিযোগিতায় ৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়। ৬ ঘণ্টা ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মিতু আক্তার। মিতু আক্তারের বয়স মাত্র ১৯ বছর। তার বাড়িও বগুড়া জেলায়। তিনি অনার্সের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম জহুরুল হক। এই সাঁতার প্রতিযেগিতা উপভোগ করেন তিস্তার দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিস্তা সাঁতার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়ার নিবাহী প্রকৌশলী আসাফুদৌল্লাহ। বিকেলে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রংপুর -১ গঙ্গাচড়া আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, সিটি করপোপোরেশনের প্যানের মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সম্মাননা স্বারক ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া কার্যালয়ের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ দীর্ঘ সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা