৫০ বছরের বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় দিয়ে দেশটি সূচিত করেছিল তার অগ্রযাত্রা। সুদীর্ঘ পথ, চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে ২০২১ সালে লাল-সবুজ পতাকার অদম্য সে দেশটি পালন করছে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী।
পুন্ড্র জনপদের বাঙালি-যমুনা অববাহিকার সোনাতলা উপজেলাবাসী বিশেষত, প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা-ভালবাসায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বর্ণিল করে রাখতে সোমবার বিকেল ৩ টায় আয়োজন করে বিজয় মিছিল, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন ও দেশাত্মবোধের শপথ গ্রহণ।
এছাড়া ৫০ জন শিশুর মাঝে পোশাক বিতরণ, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫০ চারা রোপণের মতো ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন করে। সোনাতলা উপজেলা পরিষদ রোডস্থ সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে, বিজয়ের উচ্ছ্বাস আঁকা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর সদর প্রদক্ষিণ করে সমবেত হন সোনাতলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। তারই নেতৃত্বে স্যালুট প্রদর্শন করা হয় জাতীয় পতাকাকে, নেওয়া হয় দেশাত্মবোধের শপথ। এরপর ৫০ জন শিশুকে প্রদান করা হয় নতুন পোশাক।
আলোর প্রদীপ চেয়ারম্যান এম এম মেহেরুলের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা খেলাঘরের সভাপতি মহসীন আলী তাহা, সোনাতলা থিয়েটার ও সোনাতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিপুন আনোয়ার কাজল, বাঙালি বার্তা সম্পাদক ও দুর্জয় সাহিত্য গোষ্ঠীর সভাপতি প্রভাষক ইকবাল কবির লেমন ও যুদ্ধ দলিলের বগুড়া জেলা সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান রণ।
পরে সবুজসাথী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০টি চারা রোপণের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর বর্ণিল এই কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো হলো-সোনাতলা থিয়েটার, দুর্জয় সাহিত্য গোষ্ঠী, উপজেলা খেলাঘর, ভোর হলো, আলোর প্রদীপ, পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার, লালন সংগীত একাডেমি, দড়ি হাসরাজ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিম তেকানী আলোকিত তালতলা ও বন্ধু সামাজিক সংগঠন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই