কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় গত কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। এরই মধ্যে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠিক তখনই এরকম বৃষ্টিপাত তাদের মাথায় বাজ ফেলেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে চরম বিপাকে পড়েছেন এখানকার বোরো চাষীরা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়,গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ফলে অনেক কৃষকের পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান খেত বৃষ্টিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কোথাও কোথাও মাড়াই করা ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, শুধুমাত্র শুক্রবার দিনভর জেলায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে, গত কয়েকদিনে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার ৯ উপজেলায় শতশত বিঘা জমির পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকের মাড়াই করা ধান ও খড়ও পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ভারী বর্ষণের ফলে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের শুলকুর বাজার এলাকার নির্মাধীন সেতুর বিকল্প রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রাপুর কুড়িগ্রামগামী কয়েক শতাধিক মানুষ।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কাঁচি চর এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, আমি ২বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে এবং ধান পেকে গেছে। কিন্তু বৃষ্টিতে ১ বিঘার জমির পাকা ধান পরো পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত এসব ধান কাটার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাটা শুরু করছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলা ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম