কুড়িগ্রামে শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত দিনের চেয়ে আরো ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। তবে আবারো এ তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানান অফিসটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, এখন দুই তিনদিন ঠান্ডা কমলেও আগামী সোমবারের পর আবারো মৃদু শৈত্য প্রবাহ দেখা দিতে পারে।
এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার মানুষের সাধারণ জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর এ জনপদের জনজীবন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সপ্তাহ পর রোদের ঝিলিক দেখা গেলেও উত্তাপ তেমন ছিলনা। পরে সন্ধ্যের আগে আবারো কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা জনপদ। তাপমাত্রা পারদে কমলেও ঠান্ডার প্রভাব কমেনি এ জেলার।
শুক্রবার দুপুরের পর সুর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তাপ ছিল কম। তাই ঠান্ডার মাত্রা কমেনি। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। গবাদি পশুগুলোরও ঠান্ডায় খুবই কষ্ট বেড়েছে।অনেক কৃষক ঘরের গরু ছাগল চটের বস্তা দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে ঘরেই রেখে দিচ্ছেন।এছাড়াও গত এক সপ্তাহে সদ্য বেড়ে ওঠা বোরো বীজতলার কিছু কিছু খেতে হলুদাভ আকার ধারণ করেছে।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা মোন্নাফ আলী জানান, এক সপ্তাহ পর গতকাল সূর্য দেখা গেলেও একটু পরেই তা মেঘে ঢাকা পড়ে। শুক্রবার দুপুরের পর রোদ উঠলেও তাপ নেই।তাই আমরা ঠান্ডায় অসুবিধায় পড়েছি।
পৌর এলাকার ভকেশনাল মোড় এলাকার রিক্সাচালক চান মিয়া জানায়,৭ দিন থাকি রিক্সা চালাতে পারিনি। আজ থাকি রিক্সা চালাতে শুরু করছি। জেলা কৃষিবিভাগ ওইসব বোরো বীজতলায় স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে,জেলার আড়াইশত শয্যার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সমুহে প্রতিদিন ডায়রিয়া, আমাশয়,নিউমোনিয়া,কাশি,অ্যাজমাসহ অন্যান্য নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩০-৩২জন রোগী।যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম