মানিকগঞ্জে পদ্মায় ফেরিডুবিতে নিখোঁজ ফেরি চালকের এখনো সন্ধান মেলেনি। নতুন করে কোনো যানবাহণও উদ্ধার হয়নি। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌছেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যায়। গত তিন দিনে তিনটি ট্রাক উদ্ধার হয়েছে। এখনো ছয়টি যানবাহণ নিখোঁজ রয়েছে।
যানবাহনের সঠিক অবস্থান সম্পর্কেও কেও কিছু বলতে পারছে না। উদ্ধারকারীরা বলছেন যেহেতু ফেরিটি উল্টে গেছে এর ভিতর অথবা ভাটিতে যাবাহনগুলি থাকতে পারে। ফেরি উদ্ধার হলে যানবাহণের সন্ধান মিলতে পারে। নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহটি হয়তো ফেরি অথবা যানবাহণের সাথে আটকে থাকতে পারে।
এদিকে ফেরি ডুবিতে নিখোঁজ বাবার মরদেহটি পাবার জন্য তার ছেলে-মেয়েরা ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছে। সরেজমিনে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা তাদের ট্রাক ও পণ্যউদ্ধারের জন্য দ্বিগবিদ্বিগ ছোটাছুটি করছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী পলাশ খান বলেন, আমি চামড়া নিয়ে সাভার যাচ্ছিলাম, পদ্মায় ফেরি ডুবে সব শেষ। এ ছাড়া ভুট্টা ও তুলা নিয়ে চারটি ট্রাক ডুবে যায় নদীতে। তুলা ব্যবসায়ী মনোয়ার বলেন, দ্রুত উদ্ধার করা গেলে তুলা কিছু কাজে লাগতো।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, এ পর্যন্ত তিনটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, হামজা ও রুস্তম- এই তিনটি জাহাজের সমন্বয়ে ফেরি উদ্ধার কাজ চালানো হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল আটটায় পাটুরিয়ার অদূরে ঘন কুয়াশার কারণে নোঙ্গর করে রাখা রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে যায়। ফেরিতে মাল বোঝাই ৯টি ছোট বড় ট্রাক ছিল। ফেরিতে থাকা সকলেই জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তবে ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
