কাঁচা চা পাতার মূল্য কমে যাওয়ায় পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষিরা সংকটে পড়েছেন। তারা বাগান থেকে উৎপাদিত চা পাতার ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা। অন্যদিকে অকশনে তৈরি চায়ের বাজার খারাপ হওয়ায় চা কারখানা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও সংকটে রয়েছেন। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে চা বোর্ড। এই উদ্দেশ্যে উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত অংশীজনদের চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন—২০১৬ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, উত্তরাঞ্চলের চায়ের সুনাম রয়েছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকলের অনৈকতার জন্য এই শিল্প আজ হুমকির মুখে। আমরা এতোদিন সংযত ছিলাম। এখন উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের আরও অগ্রগতির জন্য আমরা কাজ করবো।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, স্মল টি অনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, বটলিফ টি কারখানার সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী, ক্ষুদ্র চা চাষী, বিডার, বায়ার, ওয়্যার হাউসের কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় কৃষকদের ভাল মানের চা পাতা কারখানায় সরবরাহ, কারাখানা মালিকদের গুণগতমানের চা তৈরি, কৃষকদের চায়ের সঠিক দাম প্রদান ও চা আইন ২০১৬ সম্পর্কে চা সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়।
কর্মশালায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ