প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন রাজধানীসহ আশপাশের মানুষজন। এতে আজ ভোর থেকেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাড়ছে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। তবে ভোগান্তির নৌপথ খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে এবারের ঈদযাত্রায় নেই ভোগান্তি। স্বস্তিতেই ফেরি বা লঞ্চে করে নদী পার হয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলার মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ে বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, পদ্মাসেতু চালুর পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কমে এসেছে। তবে, ঈদসহ যে কোনো উৎসবের সময় এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী চাপ বাড়ে। নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে যানবাহন ও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। এবারে ঈদেও নদীপথ পারাপারে ভোগান্তি থাকবে না।
ঈদে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদে নৌপথ পারাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
অন্যদিকে, সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের পাটুরিয়ায় ১৮টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানান পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ে বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, পাটুরিয়ায় গতকালের চেয়ে আজকে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কাউকে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এবারের ঈদে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে নৌপথ পারাপারে হতে পারছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ