বলিউড মানেই জাঁকজমক-জৌলুস আর গ্ল্যামারের দুনিয়া। অথচ এ জৌলুসের পেছনে এমন কিছু স্ক্যান্ডাল ছিল যা তারকাদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। বলিউডে এমন ভয়ংকর কয়েকটি স্ক্যান্ডালের কথা তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ
মমতা কুলকার্নি
নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন মমতা কুলকার্নি। গ্ল্যামারাস লুক আর সাহসী ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে মাদক পাচার কান্ডে জড়িয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের ভরাডুবি হয়। ২০১৬ সালে কেনিয়ায় ২০ মিলিয়ন ডলারের মাদক পাচার কান্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে নাম উঠে এসেছিল মমতা এবং তাঁর স্বামীর।
ফারদিন খান
বলিউডে ভালোভাবেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফারদিন খান। কিন্তু মাদক রাখার অপরাধে ক্যারিয়ারে ভরাডুবি হয়েছিল তাঁর। ২০০১ সালে কোকেন রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফারদিন খান। খবর জানাজানি হতেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় অভিনেতার।
শক্তি কাপুর
এক খবরের চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছিলেন শক্তি কাপুর। উঠতি অভিনেত্রী সেজে এক সাংবাদিক ওই অপারেশনটি চালিয়েছিলেন। দেখা যায়, অভিনেত্রীরূপী ওই সাংবাদিককে তিনি কাস্টিং কাউচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলছেন। এ ভিডিও জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার হতেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায় অভিনেতার।
মণিকা বেদী
নব্বইয়ের দশকে মণিকা বেদীর ক্যারিয়ার উত্থান হচ্ছিল ধীরে ধীরে। কিন্তু কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ২০০২ সালে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে পর্তুগালে প্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মণিকা আর আবুকে। সে সময়ই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আর গ্রেপ্তারের পর মণিকার ভাবমূর্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
শাইনি আহুজা
বলিউডের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাইনি আহুজা। ‘গ্যাংস্টার’ এবং ‘ও লামহে’র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দোষী সাব্যস্তও হন শাইনি। সেই ঘটনার জেরে তাঁর ক্যারিয়ার থমকে গিয়েছিল।