আজ ১৪ জুন। ২০২০ সালের এই দিনে এই পৃথিবীকে বিদায় জানান বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ৩৪ বছর বয়সে সুশান্তের মৃত্যু শুধু বলিউডকেই নয়, ভারতকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল। সুশান্ত তার দুর্দান্ত অভিনয় এবং প্রাণবন্ততা দিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছিলেন। তবে এত শীঘ্রই নিজের জীবনের প্রতি হতাশ হয়ে চিরতরে চোখ বন্ধ করে দেবেন তা কল্পনাতীত ছিল। সুশান্তকে মুম্বাইতে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার আজ দুই বছর পরও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন নাকি তার অকাল মৃত্যু ষড়যন্ত্র ছিল।
২০২০ সালের আগস্টে এজেন্সি তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২২ মাসে একাধিক সাক্ষীকে একাধিকবার জেরা করেছে, অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির বিশদ বিশ্লেষণ এবং মৃত্যুর আগে তার মানসিক অবস্থার মূল্যায়ন করেছে। ষড়যন্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত্যুকে দেখার জন্য মামলাটি সিবিআই-এর কাছে স্থানান্তর করা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তকারী দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত প্রমাণ সাবধানতার সঙ্গে দেখতে চায় বলেই এত দীর্ঘ সময় পরেও তদন্ত শেষ হয়নি।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের একটি মেডিকেল বোর্ড ২০২০র সেপ্টেম্বরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা।
অন্যদিকে সিবিআই বলেছে, তদন্তের সময় আধুনিক সফ্টওয়্যারসহ উন্নত মোবাইল ফরেনসিক সরঞ্জাম ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে উপলব্ধ প্রাসঙ্গিক ডেটা বের করা এবং বিশ্লেষণের জন্য এবং মামলা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক সেল টাওয়ারের ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা আলিগড়, ফরিদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, মানেসার এবং পাটনাসহ বিভিন্ন শহর গিয়েছে প্রমাণ সংগ্রহ করতে এবং বিবৃতি রেকর্ড করতে। গত ১০ মাসে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্তের বন্ধু, কর্মী, তার ডাক্তার, রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের সদস্যরা এবং সিনেমা জগতের বেশ কয়েকজন সদস্যরা।
তবে সুশান্তের মৃত্যুদিনকে তার ভক্তরা ঘোষণা করেছে স্বজনপ্রীতি বিরোধী দিবস হিসেবে। কারণ অধিকাংশের বিশ্বাস, বলিউডের পরিচিত বৃত্তের বাইরে থেকে এসে সুশান্তের মেইনস্ট্রিম হিরো হওয়াটা অনেকেই ভালো চোখে দেখতে পারেননি।
সূত্র : জি২৪ ঘণ্টা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা