ঘুমাতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেজায় কঠিন। তবে কম পরিমাণ ঘুমের যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি বেশি বা অতিরিক্ত ঘুমেরও রয়েছে সেই একই ঝুঁকি। অতিরিক্ত ঘুম মানুষকে বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। বেশি বা মাত্রাতিরিক্ত ঘুম কাউকে কি ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলে দিতে পারে নিচে সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হলো :
বিষণ্ণতা : ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ঘুম মানুষের বিষণ্ণতার মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, প্রতিদিন তাদের বিষণ্ণতায় আক্রান্তের ঝুঁকি প্রায় ৪৯% বেশি বলে গবেষণাটিতে দেখা গেছে।
মস্তিষ্কের উপর চাপ বাড়ে : ২০১২ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে প্রতি রাতে প্রায় ২ বছর সমান বুড়িয়ে যায় কারো মস্তিষ্ক। এই সমস্যাটি তাদেরই হয় যারা ৯ ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমান।
সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা : ২০১৩ সালে কোরিয়ার একটি গবেষক দল ৬৫০ জন নারীর উপর একটি গবেষণা চালান। এতে দেখা যায়, যারা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। ড. ইভান রোজেনব্লাথ বলেন, 'অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের নিঃসরণ এবং মাসিকের উপর বেশ খারাপ প্রভাব ফেলে। আর এ কারণেই সন্তান জন্মদানে সমস্যা শুরু হয়।'
ওজন বৃদ্ধি : বিভিন্ন গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে, যারা বেশি ঘুমান তাদের স্বাভাবিক দৈহিক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে ব্যাহত হয়। এর ফলে তাদের মধ্যে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। যারা ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমান তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৫% বেড়ে যায়।
হৃদপিণ্ডের সমস্যা : ২০১২ সালে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ‘যারা অতিরিক্ত ঘুমান তারা অনেক বেশি হৃদপিণ্ডের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন’। প্রায় ৩,০০০ মানুষের উপর গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা যায়, যারা কম ঘুমান তাদের তুলনায় যারা বেশি ঘুমাতে অভ্যস্ত তাদের হৃদপিণ্ডের রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি। এই সমস্যা মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশেই। সূত্রঃ দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি-প্রতিদিন/ ২ মে ২০১৫/শরীফ