বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন করে রকেট লঞ্চার মোতায়েন করল চীন। দক্ষিণ চীন সাগরের ফায়ারি ক্রস রিফে এই রকেট লঞ্চার রাখা হয়েছে। এই অংশটি চীনের প্রশাসনের অধীনে থাকলেও ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানও এই অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। এই অংশে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বেইজিং।
অন্যদিকে চীনের এই সামরিকীকরণের সমালোচনা করেছে আমেরিকা। চীনের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, Norinco CS/AR-1 55mm অ্যান্টি ফ্রগম্যান রকেট লঞ্চার মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ারি ক্রস রিফের স্প্রাটলি আইল্যান্ডে রাখা হয়েছে এই লঞ্চার। ২০১৪ তে ভিয়েতনাম প্রচুর মাছের জাল রাখে এই রিফে। সেখানেই এবার রকেট লঞ্চার রাখল চীন। এই রিফে চীন একটি বিমানবন্দর তৈরি করছে। প্রত্যেক বছর এই দক্ষিণ চীন সাগরের উপর দিয়ে গোটা বিশ্বের ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়।
কিছুদিন আগেই অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান শাহনশি কেজে-৫০০ বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের হাইনান দ্বীপে মোতায়েন করেছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে বিতর্কিত এই এলাকায় এই বিমানকে একাধিকবার চক্কর কাটতে দেখা গেছে। আকাশ থেকে শত্রু দেশের বিমানের উপস্থিতির বিষয়ে আগাম সতর্ক করতে সক্ষম কেজে-৫০০য়ে রাডার ডিশ রয়েছে বিমানের মধ্যে। এতে বিমানকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্র ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
কেজে-৫০০ দিয়ে চারশ’ ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে এক সঙ্গে ৬০টি বিমানের গতিবিধির ওপর নজর রাখা যায়। এই বিমানের রাডারকে নজরদারি এবং সাধারণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজেও ব্যবহার করা যায়। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর চীনের পাশাপাশি অনেক দেশই ভৌগলিক অধিকার দাবি করছে। বিরোধপূর্ণ এই এলাকায় কেজে-৫০০ বিমানকে চীন নানা ভাবে ব্যবহার করতে পারবে। হাইনান ঘাঁটিতে এই প্রথম এই বিমান মোতায়েন করা হল। শুধু একটা নয়, ঘাঁটিতে একাধিক বিমানের উপস্থিতি স্যাটেলাইটের ধরা পড়েছে।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/ ১৭ মে ২০১৭/ই জাহান