ইউরোপে ৮টি মুত্যুর মধ্যে একজনের মৃত্যু দূষণের কারণে হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে ইইউ এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি (ইইএ)।
এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং রাসায়নিক ব্যবহার ১৩ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং দুর্বল লোকেরা দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। একে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ওপর বড় ধরনের মূল্যায়ন বলে আখ্যা দিয়েছে কোপেনহেগেন ভিত্তিক সংস্থাটি।
২০১২ সালে পরিবেষগত কারণে ইউরোপে ৬ লাখ ৩০ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। বায়ু দূষণে ওই বছর ৪ লাখ মানুষ মারা যায়। শব্দ দূষণে মারা যায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ। বাকিরা দাবদাহের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ু, পানি, শব্দ দূষণ এবং রাসায়নিকের ব্যবহার এমনকি সবগুলোর দ্বারা একসঙ্গে যেকোনো সময় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বায়ু দূষণে বিশ্বে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো অসুখ এসব মৃত্যুর কারণ। বলা হয় বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় বায়ু দূষণে।
ইইউ’র প্রতিবেদনে পূর্ব এবং পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য উঠে এসেছে। পরিবেশগত রোগ সমভাবে পুরো ইউরোডে ছড়িয়েছে। বলা হয়, পরিবেশগত কারণে সবচেয়ে কম মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডে। ২৩ শতাংশ আলবানিয়ায়। বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনিয়ায় ২৭ শতাংশ। রোমানিয়ায় ১৯ শতাংশ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মন্ট্রিনিগ্রো, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া এবং সার্বিয়া। যুক্তরাজ্যে মৃত্যর হার ১২ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল