পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কটাক্ষ করলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমারা যখন তাদের জিহ্বা ব্যবহার করে, তখন আমরা ব্যবহার করি আমাদের মস্তিষ্ক।”
পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও মূলধারার গণমাধ্যমগুলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংস্থা ব্রিকসের যে সমালোচনা করেছে তার প্রতিক্রিয়ায় ল্যাভরভ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্রিকস নেতারা বাস্তবতা নিয়ে কাজ করছেন।
ল্যাভরভ রবিবার মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ব্রিকসকে এমন একটি সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে যার কোনও প্রভাবই নেই। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক ডজন দেশ এতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, পশ্চিমারা যখন তাদের জিহ্বা ব্যবহার করে, তখন আমরা আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করি। আমরা সঠিক কাজটি দৃঢ়ভাবে সম্পাদন করি।
গত ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এই সম্মেলনে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ব্রিকসে ইরানসহ আরো ছয়টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যা আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আফ্রিকার ৫৪টি দেশসহ গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ছাড়া অন্য কোনও ফোরামে এত বেশি শীর্ষ নেতা সাম্প্রতিক অতীতে এক ভেন্যুতে একত্রিত হননি।
ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে ব্রিকস গঠিত। সম্প্রতি যে ছয় দেশকে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো- ইরান, সৌদি আরব, ইথিওপিয়া, মিশর, আর্জেন্টিনা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ব্রিকসে এরইমধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি২০’র বিকল্প ভাবা শুরু হয়েছে। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেছেন, কারও বিকল্প নয় বরং আমরা স্বতন্ত্রভাবে আমাদের স্বার্থে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সূত্র: তাস
বিডি প্রতিদিন/কালাম