শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

আইসিসিবিতে পুরান ঢাকার ইফতার

রাশেদ হোসাইন

আইসিসিবিতে পুরান ঢাকার ইফতার

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পাঞ্জলি হলে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে পুরান ঢাকার বাহারি ইফতার বাজার। গতকাল প্রথম রমজান থেকে নানারকম মুখরোচক ইফতারির আয়োজন নিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তমবারের মতো এ আয়োজন। ২০১৫ সাল থেকে আইসিসিবিতে এ বাজার বসছে। ২৫ রোজা পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে চলবে ইফতারের সময় পর্যন্ত।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মজাদার সব খাবার খেতে হলে ছুটতে হয় চকবাজারে। উত্তর ঢাকা থেকে চৈত্রের দাবদাহ এবং যানজটের জন্য সেটা অনেকের জন্য বড় বাধা। অনেক সময় দেখা যায় যেতে যেতেই ইফতারের সময় হয়ে যায়। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তরের ভোজনরসিকদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার এ আয়োজন। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ধুলাবালিমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পুরান ঢাকার ইফতার এখন সহজেই পাওয়া যায় এ বাজারে।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার পুষ্পাঞ্জলি হলে ঘুরে দেখা যায়, আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টসহ পুরান ঢাকার বিখ্যাত সব খাবারের ৩২টি স্টলে ক্রেতার ভিড়। ঢাকাই ইফতারের মুখরোচক আয়োজন ছাড়াও রয়েছে নানাবিধ শাহী আইটেমের সমাহার। এ বাজারে পুরান ঢাকার বিভিন্ন খাবারের মধ্যে আছে মজাদার কাবাব, ডিমের চাপ, হোল মাটন রোস্ট, মাটন লেগ রোস্ট, হোল চিকেন মুসাল্লাম, চিকেন রোস্ট, মাটন কাচ্চি (বাসমতী ও চিনিগুঁড়া), বিফ তেহারি ও বিফ পাক্কি, ভেজিটেবল, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, কাচ্চি, তেহারির মতো মজাদার খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন। এগুলোর দামও মোটামুটি নাগালের ভিতর।

আবদুল আলিম, রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর থেকে এসেছিলেন রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ইফতারের বাজার ক্রয় করার জন্য। তিনি বলেন, আমি উত্তরা থেকে এসেছি হেরিটেজের মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি নেওয়ার জন্য। এখানের কাচ্চি আমার কাছে ভালো লাগে, তাই উত্তরা থেকে এখানে চলে এসেছি। এ ছাড়া আলাদা করে মাটন রোস্টটা ভালো লাগে।

আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ডেপুটি ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) মেহেদি হাসান মোল্লা বলেন, আইসিসিবিতে সপ্তমবারের মতো শুরু হয়েছে পুরান ঢাকার ইফতারির বাজার। আইসিসিবির হেরিটেজ রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩২টি স্টল রয়েছে। আইসিসিবির ৫ নম্বর হলে নিরিবিলি পরিবেশে এ আয়োজন চলছে। কেউ চাইলে বসে ইফতার করতে পারছেন, আবার কেউ চাইলে নিয়ে যেতেও পারছেন। কোনোরকম ভিড়ের ঝামেলা ছাড়াই আইসিসিবির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খাঁটি ঢাকাই খাবারদাবার। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি রমজানেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারি কিনতে আইসিসিবিতে ভিড় করেন। আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি। আমাদের এখানে ইফতারি কিনে নেওয়ার পাশাপাশি কোনোরকম সার্ভিস চার্জ ছাড়াই ইফতার করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের মোগল ধরনার রেস্টুরেন্ট। আমরা মোগলাই খাবারের সমারোহ নিয়ে এসেছি। আমাদের এখানে পাওয়া যাচ্ছে আস্ত খাসির রোস্ট, বিখ্যাত বিরিয়ানি, কাবাব, বিভিন্ন ধরনের রুটি, কালাভুনা, হালিমসহ ঢাকাইয়া ইফতারির সব আয়োজন।

সর্বশেষ খবর